মধ্যপ্রাচ্যে বেসামরিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
ইরাক, ইরান, ওমান উপসাগরীয় অঞ্চলের আকাশসীমা এবং ইরান ও সৌদি আরবের জলসীমার মধ্যে মার্কিন বেসামরিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বা এফএএ। ইরাকে দুটি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এ কথা জানিয়েছে এফএএ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় এসব হামলা চালায় ইরান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলার পর এফএএ জানিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং মার্কিন এয়ারলাইনস ও বিদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিমান উড্ডয়নে নিরাপত্তার বিষয়টি সমন্বয় করছে।
এদিকে, মার্কিন ঘাঁটির ওপর ইরানি হামলার সময় ইরাক ও ইরানের কয়েকটি অঞ্চলের আকাশসীমায় বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ছিল বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভূমি থেকে ২৬ হাজার ফুটের কম উচ্চতায় মার্কিন বেসামরিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে এফএএ। অবশ্য গত বছরের জুনে ইরান একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার পর থেকেই পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরে ইরানি আকাশসীমায় বিমান চলাচল নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে এফএএ।
এদিকে, মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলার পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস তাদের সব ফ্লাইটকে ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিয়েছে।
ইউক্রেনের আকাশসীমায় ২০১৪ সালে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের এমএইচ১৭ নামে একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বেসামরিক বিমান চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে আসছে এয়ারলাইনসগুলো।
মধ্যপ্রাচ্যে বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে ইরান ও ইরাকের আকাশসীমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। তাই এ অঞ্চলের আকাশসীমায় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এলে এয়ারলাইনসগুলোকে তাদের ফ্লাইটের যাত্রাপথ বদলাতে নির্দেশ দিতে হবে। এর ফলে বাড়তি সময়, জ্বালানিব্যয় বইতে হবে এয়ারলাইনসগুলোকে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।