মহাভারতের যুগে অর্জুনের তীরে ছিল পরমাণু অস্ত্রের শক্তি : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল
মহাভারতের যুগে অর্জুনের তীরে ছিল পরমাণু অস্ত্রের শক্তি। এবার এমন দাবি করে বসলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের প্রকৌশল মেলার অনুষ্ঠানে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বলেন, ‘মহাভারতের অর্জুনের তীরে ছিল পরমাণু অস্ত্রের মতোই শক্তি।’ বিজ্ঞানকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিংশ শতাব্দীতে নয়, উড়ন্ত যান ব্যবহার করা হয়েছিল রামায়ণের যুগেও।’
এর আগে এমন ধরনের মন্তব্য করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি বলেছিলেন, মহাভারতের যুগে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসময় বলেছিলেন, মেঘলা আকাশে পাক রাডার কাজ করবে না। তাঁর বক্তব্য হাসির খোরাকও হয়েছিল নেট দুনিয়ায়। ভারতের মাটিতে বিজেপি নেতা বিপ্লব দেব থেকে পীযুষ গোয়েল ও দিলীপ ঘোষরা নানা সময়ে নানা মন্তব্য করে হাসির খোরাক হয়েছেন। পীযুষ গোয়েল বলেছিলেন, আইনস্টাইনের মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কারে অঙ্ক কোনো কাজে আসেনি। আবার দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়।
সেই ট্র্যাডিশন মেনেই এবারে পশ্চিমবঙ্গের খোদ রাজ্যপাল বললেন, অর্জুনের তীরে পরমাণু অস্ত্রের শক্তি রয়েছে। পরমাণু বোমা যেমন এলাকা ধ্বংস করে দিতে পারে, অর্জুনের কাছে এমন অস্ত্র ছিল, যা পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে পারত। অর্জুন বনবাসে থাকাকালীন দিব্যাস্ত্রের জন্য তপস্যা করেছিলেন। এরপর শিবের তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করে তিনি পাশুপাত অস্ত্র পেয়েছিলেন। ওই তীরেই তিনি পৃথিবী ধ্বংস করতে পারতেন। তারপরও অনেক দিব্যাস্ত্র তিনি পেয়েছিলেন। সেই সব অস্ত্রের ছিল অসীম ক্ষমতা।
মূলত এদিন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বিজেপি নেতাদেরই পথ অনুসরণ করলেন। রাজ্যপালের কথায় বিজ্ঞানের থেকেও গুরুত্ব পেল পুরাণের কাহিনি।