মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ : বৈশ্বিকভাবে শনাক্ত বৃদ্ধির আশঙ্কা ডব্লিউএইচওর

Looks like you've blocked notifications!
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ত্বকের টিস্যু। ছবি : রয়টার্স

ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স রোগ। এর মধ্যেই আরও দেশে দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

যেসব দেশে সাধারণত মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় না—সেসব দেশেও নজরদারি বাড়িয়েছে ডব্লিউএইচও। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটি আশঙ্কা করছে—বিশ্বের নানা প্রান্তে এ রোগে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যাবে।

গত ১৩ মে থেকে এখন পর্যন্ত ১২ দেশে ৯২ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল—এ সংক্রমণ আরও ছড়াবে।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ প্রসঙ্গে বলেছে, ‘পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে, এবং ডব্লিউএইচও আশঙ্কা করছে—নন-এনডেমিক দেশগুলোতে (যেসব দেশে সচরাচর কোনো বিশেষ একটি শনাক্ত হয় না) নজরদারি বাড়ানো হলে মাঙ্কিপক্সের আরও রোগী শনাক্ত হবে। যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে জানানোর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নজর দিতে হবে। এ সংক্রামণ যাতে আরও না ছড়িয়ে পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ

রোগটির নাম মাঙ্কিপক্স কারণ, এটি সর্বপ্রথম বানরের মধ্যে শনাক্ত হয়েছিল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা এবং অন্তত নয়টি ইউরোপীয় দেশে এ রোগের আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়। এ ছাড়া ইসরায়েলেও মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।

তবে, এখন পর্যন্ত কোনো দেশে কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানা যায়নি।

মাঙ্কিপক্সে ইউরোপের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে—যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল ও স্পেন। এ মহাদেশের আরও যেসব দেশে এ রোগ শনাক্ত করা গেছে, সেগুলো হলো—বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেন।

প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, সমকামীদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণের হার বেশি। এর আগে এ রোগ মূলত আফ্রিকার বেনিন, ক্যামেরুন, কঙ্গো, গ্যাবন, ঘানা, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সিয়েরা লিয়নের মতো দেশগুলোতে শনাক্ত হতো। এ রোগের ক্ষেত্রে এ দেশগুলো ‘এনডেমিক’ বা সংক্রমণপ্রবণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত। বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য বলছেন—মানুষ থেকে মানুষের শরীরে এ সংক্রমণ খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে না। সাধারণত রোগী নিজে থেকেই এ রোগ থেকে সেরে ওঠে।