মার্কিন নাগরিকদের চারজনের মধ্যে তিনজন ‘লকডাউনে’

Looks like you've blocked notifications!

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। আর এ জন্য বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় দেশটির নাগরিকদের চারজনের মধ্যে অন্তত তিনজন কোনো না কোনোভাবে লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এরই মধ্যে নতুন করে মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, অ্যারিজোনা ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের অন্তত ৩২টিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে এসব  অঙ্গরাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে অন্তত সাড়ে ২৪ কোটি মানুষ। লকডাউন পরিস্থিতিতে বাসিন্দারা কেবল গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না।

এদিকে, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টেস্টিং কিটের স্বল্পতার অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন।

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে নিউইয়র্ক। সেখানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়মিত বৃদ্ধির মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মী চেয়ে আবেদন জানিয়ে স্টেট গভর্নর এবং সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ওই অঙ্গরাজ্যে যা হচ্ছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে কী হতে চলেছে তার শুরু মাত্র।

নিউইয়র্কে একদিনের ব্যবধানে ২৫০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে এবং তার বেশিরভাগই শহরের কেন্দ্রে উল্লেখ করে গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘দয়া করে এখনই নিউইয়র্কে আমাদের সহায়তা করুন।’ বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসজনিত সংকট মোকাবিলায় অতিরিক্ত ১০ লাখ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী প্রয়োজন বলে মনে করেন গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো।

অ্যান্ড্রু ক্যুমো বলেন, ‘আমরা এক হাজারের বেশি নিউইয়র্কের বাসিন্দাকে হারিয়েছি। আমরা এরই মধ্যে আশ্চর্য হওয়ার সীমা অতিক্রম করেছি।’

যদিও গভর্নরের আবেদনের আগেই প্রায় ৮০ হাজার সাবেক নার্স, চিকিৎসক ও অন্যান্য পেশাজীবীকে নিউইয়র্কে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ১০০ শয্যার একটি জাহাজ হাসপাতালও সেখানে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন গভর্নর।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন হাজার ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬২ জনে। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।