মার্কিন নির্বাচন শেষ হয়নি, আইনি লড়াই কেবল শুরু
ভোটের ফল না মানার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় সমর্থন দিয়ে রিপাবলিকান দলীয় অধিকাংশ সিনেটর আইনি লড়াই শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। ১০টি অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনার মামলাও করেছেন তাঁরা।
জো বাইডেনের জয় ঠেকাতে আইনি লড়াই শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখপাত্র কেইলি ম্যাকএনানি। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন শেষ হয়ে যায়নি।’ স্থানীয় সময় সোমবার রাতে হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকএনানি নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। তবে কোনো প্রমাণ উল্লেখ করেননি তিনি।
এর আগে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল হিলের এক সভায় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন রিপাবলিকান সিনেটররা। তবে রিপাবলিকানদের চারজন সিনেটর সিনথিয়া লুমিস, রজার মার্শাল, বিল হ্যাগার্টি ও টম টুবারভিল পরাজয় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।
সিনেটের সভায় দাঁড়িয়ে রিপাবলিকান দলীয় নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, ‘ভোটের ফল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ শতভাগ সত্য। ভোটের অনিয়মের বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার অধিকার রয়েছে ট্রাম্পের। তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন।’
যে পেনসিলভানিয়ায় জয়ে জো বাইডেন নির্বাচিত হয়েছেন বলছেন, ‘সেখানে ভোট চুরির মামলা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী জোশ সাপিরো। ট্রাম্পের আইনজীবীরা মোট ১০টি অঙ্গরাজ্যের আদালতে মামলা করেছে।’
এ ছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার অনিয়ম তদন্তে মার্কিন বিচার বিভাগে আবেদন করেছেন। যদিও নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, উইলিয়াম বারের আবেদনের পর বিচার বিভাগের কর্মকর্তা রিচার্ড ফিলগা পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে, ডেমোক্র্যাট দলীয় সংখ্যালঘুদের নেতা সিনেটর চাক শুমার সিনেটে তৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রিপাবলিকানদের ভোটের ফল না মেনে নেওয়ার ঘোষণা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।’
গত শনিবার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে জয়ের পর সংবাদমাধ্যমগুলোতে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বলে উল্লেখ করা হয়। পরে সোমবার টুইটারে ট্রাম্প ভোটে অনিয়মের কথা জানান। তবে ট্রাম্পও তাঁর অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
অন্যদিকে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে এখনো অভিনন্দন জানাননি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, এই চার বিশ্বনেতার নীরবতা ভিন্ন কথা বলছে। কেননা, ২০১৬ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে এক ঘণ্টার মধ্যেই পুতিন অভিনন্দন জানান। অথচ এবার ক্রেমলিন বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলে তারা নীরব থাকবে।
চীনা প্রেসিডেন্টও গতবার ট্রাম্প বিজয়ী হলে আশা জানিয়েছিলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। অথচ বাইডেনের জয়ে শি জিনপিং নীরব।