মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তেহরানের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য করবে মস্কো
ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তেহরানের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য করতে প্রস্তুত আছে মস্কো। তখন আমেরিকা যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তবে তা মানবে না রাশিয়া। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা মস্কো ও তেহরানের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সহযোগিতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার ভয়ে ভীত নই, আমরা এগুলো দেখে অভ্যস্ত। মস্কো-তেহরান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা মার্কিন যেকোনো ধরনের সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে থাকবে।’
রিয়াবকভ আরো বলেন, ‘ইরানের ওপর মার্কিন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই আমাদের নীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে না। ইরানের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নির্ভর করবে দুই দেশের প্রয়োজন এবং পারস্পরিক ইচ্ছের ওপর। অন্য কারো নির্বাহী আদেশ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পাল্টাতে পারবে না।’
এদিকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি প্রচেষ্টার অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়া ও চীনসহ ইউরোপের একাধিক দেশ এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ঘোষণা করেন। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এবারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে ওই বিশ্ব সংস্থার সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নিল ওয়াশিংটন।
এদিকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করে সোমবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, অর্থমন্ত্রী স্টিফেন মানুচিন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার।
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ইরানের পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।