মার্চ নাগাদ কোভিডে আরও সাত লাখ মৃত্যু হতে পারে ইউরোপ অঞ্চলে : ডব্লিউএইচও

Looks like you've blocked notifications!
ইউরোপ অঞ্চলের ৪৯টি দেশের হাসপাতালের আইসিইউতে মার্চ নাগাদ কঠিন চাপ তৈরি হবে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএইচও। ছবি : রয়টার্স

ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু অংশে আগামী মার্চ মাস নাগাদ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে আরও সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

ইউরোপসহ আশপাশের ৫৩টি দেশ মিলে এরই মধ্যে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ডব্লিউএইচও দেশগুলোকে ‘ইউরোপ অঞ্চল’ হিসেবে গণ্য করে। ইসরায়েল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত তাজিকিস্তান ও কাজাখস্তানের মতো দেশগুলোকে ইউরোপ অঞ্চলভুক্ত গণ্য করা হয়। তিপ্পান্নটি দেশের মধ্যে ৪৯টি দেশের হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো (আইসিইউ) ‘কঠিন চাপের মুখে পড়তে পারে’ বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি।

এ ছাড়া ইউরোপে মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিড-১৯ শীর্ষে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। মঙ্গলবার সংস্থাটি জানায়, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বসন্ত নাগাদ ইউরোপ অঞ্চলে মোট মৃত্যু ২২ লাখে গিয়ে ঠেকবে। এরই মধ্যে এ অঞ্চলে দৈনিক মৃত্যু চার হাজার ২০০ জনে গিয়ে ঠেকেছে।

শুধু রাশিয়াতেই দৈনিক মৃত্যু এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, কিছু দেশে টিকা না নেওয়া মানুষজনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধির নেপথ্যে কাজ করছে।

ইউরোপে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অস্ট্রিয়া পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে ফিরে গেছে। ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রিয়ার সরকার।

এদিকে, শিগগিরই ফ্রান্স, জার্মানি ও গ্রিসের পূর্ণডোজ টিকাপ্রাপ্ত হিসেবে গণ্য হতে বুস্টার ডোজ নিতে হবে এমন নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে।

কোভিড বেড়ে যাওয়া উপলক্ষ্যে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে দেশে দেশে। নেদারল্যান্ডসে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের।