মিয়ানমারের ২ ব্যক্তি ও ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার (২৪ মার্চ) মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে জেট তেল দিয়ে সহায়তা করা দুই ব্যক্তি ও ছয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলে, ‘মিয়ানমারের দুই ব্যক্তি ও ছয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জঙ্গি বিমানের জ্বালানি সরবরাহ করা, আমদানি ও মজুত করতে সহায়তা করেছিল। এসব জঙ্গি বিমান দিয়ে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।’
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটি বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত। সামরিক বাহিনীর শাসন ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। নির্মমভাবে বিদ্রোহ দমন করছে সেনাবাহিনী। যার জেরে তাদের ওপর বার বার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলছে, অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা ও সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় জনবহুল এলাকাগুলোয় বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। মধ্য বার্মার একটি লেট ইয়েট কোন গ্রামে বিমান হামলায় একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেন, ‘বার্মার (মিয়ানমার) সামরিক শাসকরা নিজের দেশের জনগণকে বেদনা ও যন্ত্রণা দিয়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বার্মার জনগণের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের মিয়ানমার দূতাবাসের মন্তব্য চাওয়া হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো জবাব দেয়নি।