‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’ বিজয়ীর মুকুট নিয়ে টানাটানি
পুরস্কার নেওয়ার মঞ্চে ভুল বোঝাবুঝি। পরিস্থিতি এমন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেল যে, মাথায় আঘাত নিয়ে মঞ্চ ছাড়তে হয় শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ীকে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ঘটনা গত রোববারের। জাতীয় টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’ খেতাব জেতেন বিউটি কুইন পুষ্পিকা ডি সিলভা। পুষ্পিকাকে বিজয়ী ঘোষণার কয়েক মুহূর্ত পর একই মঞ্চে উপস্থিত ওই প্রতিযোগিতার ২০১৯ আসরের বিজয়ী দাবি করেন, পুষ্পিকা পুরস্কার পাওয়ার অযোগ্য, কারণ তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। শুধু বলাই নয়, পুষ্পিকার মাথার মুকুট নিয়ে নেন ওই সাবেক ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর একটি থিয়েটারে গত রোববার রাতে মিসেস শ্রীলঙ্কা প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। বিচারকেরা পুষ্পিকা ডি সিলভাকে ২০২১ সালের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
কিন্তু, প্রতিযোগিতার ২০১৯ সালের বিজয়ী ক্যারোলিন জুরি অভিযোগ করেন, পুষ্পিকা প্রতিযোগিতার শর্ত ভঙ্গ করেছেন। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিযোগীকে বিবাহিত হতে হবে এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া কেউ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। এরপর পুষ্পিকার মাথায় পরানো মুকুট নিয়ে নেন ক্যারোলিন জুরি।
উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে ক্যারোলিন জুরি বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অযোগ্য। তাই, এই মুকুট দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা প্রতিযোগীর প্রাপ্য।’
ওই সময়ের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুষ্পিকার মাথা থেকে মুকুট খুলে ক্যারোলিন জুরি রানার-আপ প্রতিযোগীকে বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দিচ্ছেন। আর অশ্রুসজল চোখে মঞ্চ থেকে নেমে যাচ্ছেন পুষ্পিকা ডি সিলভা।
পুষ্পিকা জানান, তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকছেন না, তবে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি।
এক ফেসবুক পোস্টে পুষ্পিকা ডি সিলভা জানান, মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হয়েছে।
পুষ্পিকা আরও জানিয়েছেন, ‘বিনা কারণে এভাবে অপমানিত’ হওয়ায় তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আয়োজকেরা পুষ্পিকা ডি সিলভার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আয়োজকেরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, পুষ্পিকা ‘ডিভোর্সি’ নন। পুষ্পিকাকে মুকুট ও পুরস্কার ফেরত দেওয়া হয়েছেন। মিসেস শ্রীলঙ্কা ওয়ার্ল্ডের জাতীয় পরিচালক চন্ডিমাল জয়াসিংহে জানিয়েছেন, পুষ্পিকা ডি সিলভাকে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর প্রাপ্য মুকুট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।