মিয়ানমারে প্রতিবাদের প্রতীক ‘ইস্টার এগ’

Looks like you've blocked notifications!
মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থিদের প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে ‘ইস্টার এগ’। ছবি : রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী গতকাল রোববার পালিত হয়েছে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে। আর মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এদিন গণতন্ত্রপন্থিদের প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠে ‘ইস্টার এগ’। খবর রয়টার্সের।

গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনাঅভ্যুত্থানের পর থেকে গত শনিবার রাত পর্যন্ত মিয়ানমারে সাড়ে পাঁচশর বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আরও দুই হাজার ৬৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে গুলি চালানোর পাশাপাশি ক্ষমতা দখলকারী জান্তাবাহিনী ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সংগঠিত হওয়া আটকাতে চাইছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত দেশটির ৬০ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

গত ২৭ মার্চ মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জান্তাবাহিনীর গুলিতে ১১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়, যা সেনাঅভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সব থেকে রক্তাক্ত দিনে পরিণত হয়েছে।

এদিকে গত রোববার আবারও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মিয়ানমারের বড় বড় নগরীর সড়কগুলোতে নেমে বিক্ষোভ করে। এদিন রাজধানী নেপিদোতে দুই বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানায় ইরাবতী নিউজ। 

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বিক্ষোভকারীরা ডিমের ওপর প্রতিবাদের নানা বাক্য লিখে সেগুলো পোস্ট করেন। সেখানে ‘বসন্ত বিপ্লব’, ‘আমরা অবশ্যই জিতব’, ‘এমএএইচ চলে যাও’ লেখা বার্তা দেখা যায়।

সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে সংগঠিত বেসামরিক জোটের মুখপাত্র ডা. সাসা এদিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনায় ইস্টার পালন করা হয়। আর গণতান্ত্রিক সরকারে অধীনে মিয়ানমারের জনগণের চমৎকার ভবিষ্যৎ আছে।’

রাজধানী নেপিদো ছাড়ও রোববার দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ নগরী মান্দালাইতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।