মিয়ানমারে শিশু হত্যা নিয়ে জাতিসংঘের ‘গভীর উদ্বেগ’

Looks like you've blocked notifications!
শিশু হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে মিয়ানমারে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো দেশটিতে শিশু হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে।

এ ছাড়া জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এই মাসের শুরুর দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দুই শিশু নিহতের ঘটনায় ‘দুঃখ ও শোক’ প্রকাশ করেছে। সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো শিশু নিহতের ঘটনার ‘পূর্ণ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত তদন্তের জন্য’ আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিশুদের ব্যবহার ও হত্যায় যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে জবাবদিহি করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই গুরুতর ঘটনাটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে শিশুরা যখনই কোনো কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনী এবং গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাদের সংগঠনের সময়কাল নির্বিশেষে তাদের হত্যা বা আহত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রাখা হয়।’

তাতমাডা নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্রসফায়ারে দুই ছেলে মারা যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ ঘটনায় আমরা দুঃখিত ও শোকাহত এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’

জাতিসংঘের সংস্থাগুলো গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধিডাং জনপদে ৫ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছে—যেটা ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে সেনাদের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত।

শিশুরা প্রায় ১৫ জন স্থানীয় কৃষকের একটি দলের অংশ ছিল, যাদের সবাইকে সামরিক শিবিরের দিকে শত্রুদের সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য তাতমাডা ইউনিটের সামনে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছিল।

পথে তাতমাডা ও আরাকান সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়, পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের লাশ পাওয়া যায়।