মেক্সিকোয় দিনদুপুরে নারী-শিশুসহ ৯ মার্কিন নাগরিককে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!

মেক্সিকোয় গত সোমবার দিনদুপুরে নারী ও শিশুসহ নয়জন মার্কিন নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী মেক্সিকোকে তাদের মাদক চক্রের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে সমর্থন দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ কারণেই ওই নয় মার্কিন নাগরিক আক্রোশের শিকার হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।

উত্তর মেক্সিকোর মার্কিন সীমান্তবর্তী সোনোরা এবং সিহুয়াহুয়া রাজ্যে একই দিনে সোমবার যাদের হত্যা করা হয়েছে, এরা প্রত্যেকেই লেব্যারন, ল্যাংফোর্ড, মিলার ও জনসন পরিবারের সদস্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক ব্যক্তি গাড়িতে করে কয়েকজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং মার্কিন উচ্চারণের ইংরেজিতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথা বলছিলেন। গাড়িটির মধ্যে ধোঁয়া ছিল এবং গাড়ির ভেতরে বেশকিছু গুলির গর্ত দেখা যাচ্ছে। তিনি বলছিলেন, ‘নিতা এবং আমার চার নাতির গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং গুলি করা হয়েছে।’ নিতা বলতে এ ঘটনায় নিহত তিন নারীর একজন রোনিতা লেব্যারনের কথা বোঝাচ্ছিলেন।

রোনিতার এক আত্মীয় জুলিয়ান লেব্যারন একে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘একটি পরিবারের কয়েকজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে।’

ওই ঘটনায় চার ছেলেশিশু, দুই মেয়েশিশু ও তিন নারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ ছাড়া কয়েকটি শিশু নিখোঁজ ছিল, তাদের পরে পাওয়া গেছে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকোর জন্য এখনই সময়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা এবং তাদের মূলোৎপাটন করার।

পরে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওবরাডোরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। তবে ফোনকলের ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ওবরাডোর অবশ্য বিদেশি সহযোগিতার প্রতি অনাস্থার কথা জানান।

২০০৬ সাল থেকে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশের সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে আসছে মেক্সিকো। একাধিক শীর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার ও হত্যা সত্ত্বেও মাদক ব্যবসার রমরমা অবস্থা কমেনি। মাদক কারবারি গ্রুপগুলোর মধ্যকার অন্তর্কোন্দলে মাঝেমধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।