‘মোদি-অমিত শাহ তাঁদের পক্ষে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন’
‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পক্ষ থেকে এক ব্যক্তি আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।’ গত শনিবার এক ভিডিওতে এমন কথা জানিয়েছেন ভারতের ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তাঁর দাবি, ভারত সরকার তাঁকে বলেছিল, কাশ্মীর নিয়ে সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করতে। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেওয়া হবে। তিনি ভারতে ফিরতে পারবেন। কিন্তু জাকির নায়েক এই প্রস্তাবে রাজি হননি।
একই সঙ্গে জাকির নায়েক জানান, সরকার চেয়েছিল, তাঁর নানা যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে। ভারতে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক প্রচারণার অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তাঁকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোষণা করা হয়।
জাকির নায়েকের দাবি, বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম নেতাকে হুমকি দিয়ে অথবা বেকায়দায় ফেলে সরকারের কথা মানতে বাধ্য করা হয়েছে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিওতে জাকির নায়েক বলেন, “ভারত সরকার তাদের এক প্রতিনিধির সঙ্গে আমাকে বৈঠকে বসতে বলেছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ সপ্তাহে সে প্রতিনিধি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরে সোজা আপনার কাছে এসেছি।’”
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের তুমুল জনপ্রিয় এই ইসলামী বক্তার কথায়, ‘ওই প্রতিনিধি আমাকে বলেন, নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর নির্দেশে আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আপনি যাতে নিরাপদে ভারতে ফিরতে পারেন, সে জন্য তাঁরা ব্যবস্থা করবেন। বিনিময়ে তাঁরা আপনার সাহায্যে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান।’
ডা. জাকির নায়েক আরো জানান, এই প্রস্তাব শুনে তিনি প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত লোকসভা ভোটের আগে এক ভাষণে দুই মিনিটে তাঁর নাম উল্লেখ করেছিলেন নয়বার। তাঁর দাবি, মোদির প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি কয়েক ঘণ্টা কথা বলেছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করুন।