মোদি-মমতা বৈঠকে বিএসএফ নিয়ে আলোচনা

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে হয় ওই বৈঠক।

একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে দুজনের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এলাকা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মমতা।

২০২০-২১ অর্থ বছরে জিএসটি বাবদ দুই হাজার কোটি রুপি প্রাপ্য পশ্চিমবঙ্গের। পাশাপাশি আম্পান, ইয়াস মোকাবিলা বাবদ ৩২ হাজার কোটি রুপি পাওনা রয়েছে। এ ছাড়াও আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, ন্যাশনাল হেলথ মিশন, জল জীবন মিশনসহ একগুচ্ছ প্রকল্পের অর্থ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের। সেই অর্থ মেটানোর জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

আগামী এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হতে চলেছে বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলন। সেখানকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মমতা জানান, প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী বছর এপ্রিল মাসে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন তিনি।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে নারাজ মমতা। একাধিকবার প্রকাশ্যে তিনি সরব হয়েছেন এই নিয়ে। আজ বৈঠক শেষে মমতা বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রয়েছে। বিএসএফ আমাদের শত্রু নয়। আমরা আমাদের মতো করে বিএসএফকে সাহায্য করতে তৈরি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের বিষয়। সীমান্তে বিএসএফের এখতিয়ার বাড়ানো হলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।’

মমতা বলেন, ‘রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়েই কথা হয়েছে। আম্পানসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে কথা হয়েছে। প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে পায় রাজ্য। বিএসএফের কাজ সীমান্ত সামলানো। তাদের এখতিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে কথা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করা উচিত নয়। রাজ্যের সাহায্য চাইলে রাজ্য সাহায্য করতে প্রস্তুত। এ ছাড়াও করোনা টিকাকরণের জন্য আরও টিকা লাগবে। তা জানিয়েছি। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলার পাটশিল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

মমতা জানান, রাজ্যের উন্নতি হলেই কেন্দ্রের উন্নতি হবে। রাজনৈতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন সম্পর্ক এক নয়। ত্রিপুরার পৌরভোটের আগের পরিস্থিতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।