যুক্তরাজ্য এখন করোনার সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছে : বরিস জনসন

Looks like you've blocked notifications!

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যুক্তরাজ্য এ মুহূর্তে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সর্বাধিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ সময়টায় জনগণকে লকডাউনের নিয়ে ধৈর্য না হারানোর আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

বরিস জনসন গতকাল সোমবার কাজে ফিরেই জানিয়ে দেন, খুব শিগগির লকডাউন তুলে নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। করোনাজনিত কোভিড-১৯ রোগকে হারিয়ে কাজে ফিরে নিজের প্রথম বিবৃতিতে এ কথা জানান বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন করোনার জোয়ারকে প্রতিহত করা শুরু করছি।’ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তিনি জানেন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে বরিস জনসন সতর্ক করেন, এ সময়টা সর্বাধিক ঝুঁকির সময়। মানুষকে নিজেদের ব্যস্ততাকে সংযত করার আহ্বান জানান তিনি।

বরিস জনসন বলেন, ‘অর্থনীতির চাকাকে সচল করতে সামনের দিনগুলোতে ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। তবে, কবে সে বদলগুলো আসবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বরিস জনসন। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

বরিস জনসন তাঁর বিবৃতিতে দেশবাসীর লড়াই করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে যেভাবে তাঁরা মানিয়ে নিচ্ছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। এদিনের আগে বরিস জনসন ইস্টার সানডেতে জনগণের উদ্দেশে বিবৃতি দিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভিডিও বার্তায় চিকিৎসক ও মেডিকেল সেবাদানকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন বরিস জনসন।

যুক্তরাজ্যে লকডাউন তুলে নেওয়ার ভাবনা নিয়ে অস্থিতরতা তৈরি হয়েছিল। জল্পনা চলছিল, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়তো ধীরে ধীরে লকডাউন তোলা হবে। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, আপাতত তেমন কোনো পরিকল্পনা তাঁর সরকারের নেই।