যুক্তরাজ্য ও আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা
যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরন পাওয়া গেছে তা বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এমনটি জানানো হয়েছে। খবর ইউএনবির।
রুপান্তরিত নতুন করোনাভাইরাস আরো বেশি সংক্রমণযোগ্য হওয়ায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ যুক্তরাজ্য থেকে আসা ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পাওয়া করোনা টিকা রূপান্তরিত নতুন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে না বা এটি যে আরো মারাত্মক, এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস গতকাল সোমবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মূল কথা হলো আমাদের যতটা সম্ভব সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ দমিয়ে রাখা প্রয়োজন। আমরা এটিকে (কোভিড-১৯) যত বেশি ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ দেব, এর তত বেশি রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ থাকবে।’
ডব্লিউএইচও প্রধানের মতে, ২০২১ সালের প্রথম দিকে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কমপক্ষে ২০ ভাগের জন্য কোভিড টিকা কিনতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ৬ মার্কিন ডলারের তহবিল প্রয়োজন হবে। এটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং যারা গুরুতর রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার দ্রুততম উপায়।
জাতিসংঘের সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইরাস প্রতিনিয়ত নিজেই পরিবর্তন হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন রূপ ধারণ করতে থাকে। যাকে ‘মিউটেশন’ বলা হয়।
এই মিউটেশনের মধ্য দিয়ে ভাইরাস যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, তেমনি অনেক সময় এর শক্তি হ্রাসও পায়। নতুন রূপ নিয়ে মানুষের মাঝে দ্রুত বা সহজে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস যা ওষুধ বা টিকার মতো প্রতিরোধক ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ভাইরাসগুলো স্বাভাবিকভাবেই বিকশিত হয় কারণ সেটি মানুষের মধ্য দিয়ে যায়।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বেশকিছু স্থানে করোনাভাইরাসের নতুন এক ধরনের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ কারণে গত শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন এই ধরন যে আগের চেয়ে সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে, গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে বা টিকাকে মোকাবিলা করতে পারে- এমন সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।