যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা
ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, লঞ্চারসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা। এসব সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্রের ২০ কোটি মার্কিন ডলারের নিরাপত্তা প্যাকেজের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা এসব সামরিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে গতকাল শুক্রবার পশ্চিম ইউক্রেনের ইয়াভোরিভ সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নেয় ইউক্রেনের সেনারা।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করলে ‘জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউক্রেন। উত্তেজনার এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে এরই মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছে কয়েক হাজার রুশ সেনা। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন সেনারা সীমান্তবর্তী ইয়াভোরিভ শিবিরে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে বলে সে দেশের সরকারি সূত্রের খবর।
সম্ভাব্য রুশ হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এর পরেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য পাঠানো হয় ইউক্রেনে। পাশাপাশি শুরু হয় রাশিয়ার হামলার মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ শুক্রবার রাতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম দফায় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম এসে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় দফার সরবরাহ খুব দ্রুত চলে আসবে।’ ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তা আন্দ্রেই বাস্তিউফ জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি চিহ্নিত করে সেগুলো ধ্বংস করার উপযোগী সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছেন তাঁরা, যেগুলো সীমান্তে হামলা ঠেকাতে কার্যকর হবে।