যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্যে সচল হচ্ছে অর্থনীতি

Looks like you've blocked notifications!

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি অঙ্গরাজ্য অর্থনীতির কিছু অংশ পুনরায় চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যদিও বিধিনিষেধ শিথিল করার বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা হচ্ছে কি না, এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সরকারি নেতাদের মধ্যে তর্ক চলছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে আজ মঙ্গলবার এ খবর জানানো হয়েছে।

এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ বন্ধের পর গতকাল সোমবার কিছু দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছেন সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টার। সে ক্ষেত্রে আসবাবপত্র, বই, সংগীতের সামগ্রী, ফুল, পোশাক ও আনুষাঙ্গিক বিক্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ডিপার্টমেন্ট স্টোর, ক্রীড়া সামগ্রীর স্টোরগুলো খোলা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সৈকত মঙ্গলবার দুপুর থেকে চালু করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে আগামী শুক্রবারের প্রথম দিকে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ব্রায়ান কেম্প। তিনি আরো জানান, বোলিং অ্যালি, জিম ও ফিটনেস সেন্টার, সেলুন ও ম্যাসাজ থেরাপির প্রতিষ্ঠানসহ থিয়েটার ও রেস্তোরাঁগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।

টেনেসি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বিল লি জানিয়েছেন, এ অঙ্গরাজ্যে ‘স্টে অ্যাট হোম’—এর নির্দেশ আগামী ৩০ এপ্রিল শেষ হবে।

এ ছাড়া ৮৯ কাউন্টিতে আগামী ১ মে থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবসাক্ষেত্র চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানা গেছে।

যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ শিথিল করার আগে ১৪ দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। তবে এও বলা হয়, এ নির্দেশনা বাধ্যতামূলক নয়।

এদিকে, এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের কর্মকর্তা ডা. ডেবোরাহ বার্কস বলেছেন, ‘আমরা সব অঙ্গরাজ্যের গভর্নরদের বলেছি, যেন নির্দেশিকাটি অনুসরণ করা হয়।’ তবে তাঁরা নিজস্ব নির্দেশনা তৈরি করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৫১৮ জনে। এ ছাড়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ৯২ হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৭২ হাজার ৩৮৯ জন।

এদিকে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৪৭২ জনে। এ ছাড়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৮২ হাজার ২৭২ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ছয় লাখ ৫২ হাজার ১৭২ জন।