যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণরত সৌদি সেনাদের বিমান চালানো বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক প্রশিক্ষণরত সৌদি আরবের শিক্ষার্থীদের বিমান চালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে গত শুক্রবার নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে এক সৌদি সামরিক শিক্ষার্থীর বন্দুক হামলায় তিন নাবিক নিহত হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে বিমান উড্ডয়নে নিষেধাজ্ঞা দিলেও সৌদি শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠগ্রহণে কোনো বাধা নেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে মার্কিন নৌঘাঁটিতে সৌদি বিমানবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্টের বন্দুক হামলায় তিন নাবিক নিহত হওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার।

পুলিশের গুলিতে নিহত ওই সৌদি শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্য কী ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ ডিসেম্বরের ওই হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে এগোচ্ছেন তাঁরা।

হামলার কারণে আঁচড় পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের সম্পর্কে।

সৌদি সামরিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা

মার্কিন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মেগান আইজ্যাক বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রশিক্ষণরত সৌদি আরবের শিক্ষার্থীদের বিমান চালনা গত সোমবার থেকে স্থগিত রয়েছে।’

মেগান জানান, ফ্লোরিডায় মার্কিন নৌবাহিনীর পেনসাকোলা, হুইটিং ফিল্ড ও মেপোর্ট বিমানঘাঁটিতে প্রশিক্ষণরত ৩০৩ জন সৌদি শিক্ষার্থীর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

কী হয়েছিল গত শুক্রবার?

স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে ফ্লোরিডার পেনসাকোলা নেভাল এয়ার স্টেশনের একটি ক্লাসরুমে এক শিক্ষার্থী বন্দুক নিয়ে হামলা চালান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ডেপুটি শেরিফের গুলিতে মারা যান বন্দুকধারীও। গত শুক্রবারের ওই হামলায় আহত হন আটজন। এর মাত্র দুদিন আগে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে পার্ল হারবার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছিল।

বিবিসি জানায়, হামলাকারীর নাম মোহাম্মদ সাইদ আলশামরানি। তিনি সৌদি সেনাবাহিনীর পাইলট ছিলেন। সামরিক শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি ওই ঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন।

আলাবামা অঙ্গরাজ্যের সীমান্তবর্তী ফ্লোরিডার এই নৌঘাঁটিতে ১৬ হাজারের বেশি সামরিক এবং সাড়ে সাত হাজারের মতো বেসামরিক কর্মী নিয়োজিত আছেন।

এদিকে, ওই ঘটনার পর সৌদি বাদশাহ সালমান জানান, হামলাকারী সৌদি আরবের হলেও তিনি সৌদির আদর্শ বহন করে না এবং তাঁকে দিয়ে সৌদি আরবকে বিচার করা ঠিক হবে না। তিনি এ ঘটনার তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ হামলার ঘটনার পর এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করব। এ ছাড়া এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’