যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীর শরণাপন্ন ৯ অঙ্গরাজ্য

Looks like you've blocked notifications!

পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করেন মিনেসোটা পুলিশের কয়েকজন শ্বেতাঙ্গ সদস্য।

করোনাভাইরাসের তীব্র প্রকোপের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্রমে ছড়িয়ে পড়তে থাকা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল গার্ডের শরণাপন্ন হয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি এবং আরো আটটি অঙ্গরাজ্য। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

মিনেসোটা, জর্জিয়া, ওহাইও, কলোরাডো, উইসকনসিন, কেন্টাকি, উটাহ ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কোনোটিতে এরই মধ্যে বাহিনীটি মাঠে নেমেছে, আবার কোনোটিতে সেনা ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত আমেরিকান ন্যাশনাল গার্ডকে চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মিনেসোটার মিনেপলিস, ইলিনয়েসের শিকাগো ও ক্যালিফোর্নিয়ার লাস ভেগাসসহ ১৬ অঙ্গরাজ্যের ২৫টি শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ।

দ্বিতীয় দিনের মতো চলা এই বিক্ষোভ পৌঁছে গেছে হোয়াইট হাউসেও। গতকাল শনিবার হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হলে সেখানে তাঁদের ওপর মরিচগুঁড়ার পানি স্প্রে করা হয়। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া করেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে, নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জর্জ ফ্লয়েডের ভাই ফিলোনাইজ ফ্লয়েড ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথায় ন্যায়বিচারের দাবি জানাতে পারলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে কোনো কথাই বলতে দেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

গণমাধ্যমকে ফিলোনাইজ ফ্লয়েড বলেন, ট্রাম্প একনাগাড়ে বলে গেছেন শুধু, আমাকে কোনো কথা বলার সুযোগই দেননি।