যুক্তরাষ্ট্রে ভয়ংকর আগুন টর্নেডোর আঘাত

আকাশে হাওয়ার মতো উড়ছে আগুন। ছড়িয়ে পড়ছে ধোঁয়া আর ছাই। এলাকার সব ঘরবাড়ি রক্ষা করতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় এমন ঘটনাই ঘটেছে। ছেয়ে আছে ফায়ার ক্লাউড বা আগুন থেকে তৈরি মেঘ। গত সপ্তাহের শেষেই ওই অঞ্চলে সেই মেঘ তৈরি হয়েছে। লয়ালটন নামে এক ছোট শহরে সেই টর্নেডো দেখা যাচ্ছে। সংক্ষেপে একে ‘ফায়ারনেডো’ নামে ডাকা হয়। সিএনএনের খবরে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
যখন প্রবল বেগে হাওয়া আগুনের সংস্পর্শে আসে, তখনই এ রকম ঘটনা ঘটে। আর সেটাই হয়েছে ওই এলাকায়। আগুনের শিখা ঘুরে ঘুরে আকাশে দিকে উঠে যায় এ ধরনের টর্নেডো।
এরই মধ্যে ফায়ার টর্নেডো নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এলাকা ফাঁকা করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেখানকার জঙ্গলে আগুন জ্বলছে। লয়ালটনের অন্তত ২২ হাজার একর জায়গা ভষ্মে পরিণত হয়েছে। চারপাশে শুধুই গরম আর শুকনো আবহাওয়া। ক্যালিফোর্নিয়ার পাশাপাশি নাভেদা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।
গোটা যুক্তরাষ্ট্র যখন মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে পর্যুদস্ত, ক্যালিফোর্নিয়ার লয়ালটনে তখন এমন বিপজ্জনক টর্নেডোর আঘাত হেনেছে।
কী এই ফায়ার টর্নেডো?
যে অঞ্চলে প্রবল অগ্নিকাণ্ড হয়, তার মাথায় তৈরি হয় এক বিশেষ ধরনের মেঘ। আর সেই মেঘ হয় মারাত্মক, সেখান থেকে কী হতে পারে, তা বোঝা মুশকিল। আসলে আগুন থেকে যে বিপুল পরিমাণ তাপ নির্গত হয়, তা থেকেই তৈরি হয় এই মেঘ। আর তৈরি হয় প্রবল বেগের হাওয়া, যা ঘুরপাক খেতে খেতে এগোতে থাকে। আর সেই টর্নেডোর প্রকোপে পড়তে পারে কয়েকশ মিটার এলাকা। গাছপালাও উপড়ে যেতে পারে এতে।
এর আগে ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার দাবানল থেকে তৈরি হয়েছিল এমন একটি ফায়ার টর্নেডো। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৫০০ বাড়ি, বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল সেই আগুনে। এ ছাড়া গত ডিসেম্বরে এমনই এক ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ফায়ার সার্ভিসকর্মীর।