যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সপ্তাহব্যাপী ‘সংঘাত হ্রাস’ কর্মসূচি শুরু

Looks like you've blocked notifications!
সপ্তাহব্যাপী ‘সংঘাত হ্রাস’ কর্মসূচি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান বড় ধরনের কোনো আক্রমণাত্মক অভিযান চালাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে চলে আসা সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে আফগান তালেবান। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাত দিনের প্রাথমিক অস্ত্রবিরতি আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই অস্ত্রবিরতি বা আংশিক চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে ‘সংঘাত হ্রাস’ কর্মসূচি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই অস্ত্রবিরতি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান বড় ধরনের কোনো আক্রমণাত্মক অভিযান চালাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে অস্ত্রবিরতি বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গতকাল শুক্রবার বলেছেন, দীর্ঘদিনের শান্তি প্রক্রিয়ার প্রচেষ্টার মাঝে এই অগ্রগতি দুই পক্ষের জন্যই অনেক বড় সফলতা। সপ্তাহব্যাপী এই অস্ত্রবিরতিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সরকারি বাহিনী এবং তালেবান যোদ্ধাদের জন্য বড় ধরনের ধৈর্য্য পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।

সংঘাত কমিয়ে আনার এই ধাপ সফলভাবে শেষ হলে দুই পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক চুক্তি সম্পাদিত হবে। একবছরের বেশি সময় ধরে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশেষে দুই পক্ষই জানিয়েছে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। আর এমনটি হলে তা হবে প্রায় দুই দশক ধরে বিদ্যমান এক সংকটের অবসান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে এক বিবৃতিতে চুক্তির বিষয়টি জানান। এর কিছুক্ষণ পর তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদের বিবৃতিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যকার এই সমঝোতা প্রক্রিয়ার সঙ্গে আফগান সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বিবৃতিতে বলেন, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি চুক্তি স্বাক্ষরের পর আফগানিস্তানের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে। সেখানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে। পাকিস্তানে তালেবানের এক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্তা এএফপি জানিয়েছে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি চুক্তি হলে, আগামী ১০ মার্চ তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে।