যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর
যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় বুধবার তাইওয়ানের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তির ফলে, চীন যাকে তার নিজস্ব ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে, সেই দ্বীপ-রাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে, যা ওই অঞ্চলে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক প্রভাবকে ভোঁতা করবে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন—যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান দ্বিপক্ষীয় চুক্তিটি ডিজিটাল ও ক্লিন এনার্জি বাণিজ্যকে সম্প্রসারিত করবে। এ ছাড়া দুই অংশীদারের মধ্যে আরও প্রযুক্তি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য আলোচনার পথ প্রশস্ত হবে।
চুক্তিটি ঘোষণা করার সময়, মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী গিনা রাইমন্ডো বলেন, ‘তাইওয়ান আমাদের কাছে অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, বিশেষ করে যেহেতু দেশটি সেমিকন্ডাক্টরের সঙ্গে সম্পর্কিত।’
রাইমন্ডো সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাইওয়ানের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে উন্মুখ। সেইসঙ্গে আমরা তাইওয়ানের সঙ্গে সক্রিয় সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।’
জো বাইডেন সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফরের সময় বেশ কয়েকটি এশিয়া-প্যাসিফিক দেশের সঙ্গে একটি নতুন অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি ঘোষণা করার কয়েক দিন পরই যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান চুক্তিটি সম্পাদিত হলো।
তাইওয়ানকে ওই ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ, কিছু দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, দেশটির অংশগ্রহণ চীনকে ক্ষুব্ধ করতে পারে।
তবে, মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন তাইওয়ানকে একটি নেতৃস্থানীয় গণতন্ত্র, প্রযুক্তিগত শক্তি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে দেখে।’