‘যুদ্ধ প্রতিরোধে’ ইরান সংলাপ চায় : হাসান রুহানি

Looks like you've blocked notifications!

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তিনি যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে চান। চলতি জানুয়ারির শুরুর দিকে তেহরান ও ওয়াশিংটন এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সরাসরি সামরিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে চলে আসে।

ইরানে ২১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আগে রুহানির প্রচারণা একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেহরানসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানি প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, বিশ্বের সঙ্গে সংলাপ ‘সম্ভব’ ছিল। বার্তা সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে বলেন, সরকার প্রতিদিন সামরিক সংঘাত ও যুদ্ধ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।

জানুয়ারির গোড়ার দিকে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরানের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার কিছুদিন পর ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে এ অঞ্চলে নতুন যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর বক্তব্য অনুযায়ী, তবে ওই হামলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

রুহানি বলেন, ‘ইরানের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সামরিক কৌশলের’ কারিগর কাসেম সোলেইমানি হত্যার ‘জবাবস্বরূপ’ ওই হামলা চালানো হয়েছিল।

ইরান মার্কিন প্রতিহিংসার ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়ে ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ভুলবশত ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করে।

মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন। যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন ইরান ও কানাডার নাগরিক।

এদিকে, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপ শ্যাম্পেজ্ঞনে গতকাল বৃহস্পতিবার এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ইরানকে চাপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(নিহতদের) পরিবার জবাব চায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জবাব চায়, বিশ্ব জবাবের প্রতীক্ষায়, জবাব না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’