যে কারণে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়লেন বেলারুশ নেত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/09/09/belarus_passport.jpg)
দেশছাড়া করতে সীমান্তে নেওয়া হয়েছিল বেলারুশের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী মারিয়া কোলেসনিকোভাকে। বেলারুশের রাজধানী মিনস্ক থেকে গত সোমবার মারিয়াকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী লোকজন। তাদের চাপে দেশত্যাগে রাজি হন মারিয়া। পরে ইউক্রেন সীমান্তে নেওয়া হলে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়ে গাড়ির জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলেন তিনি।
মারিয়া কোলেসনিকোভার সহকর্মী আন্তন রডনেনকভ গতকাল মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে পাসপোর্ট ছেঁড়ার বিষয়টি জানান। আন্তনসহ আরো দুজন মারিয়ার সঙ্গে ছিলেন। আন্তন জানান, তাঁদের আটকের পর নির্যাতন করা হয়। আন্তনের বক্তব্য অনুযায়ী, বেলারুশ ছাড়লেও মারিয়াকে কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা জানেন না তাঁরা।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বেলারুশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মারিয়া কোলেসনিকোভাকে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিক্ষোভ চলমান থাকলেও পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন অবস্থান ব্যক্ত করেন তিনি।
দীর্ঘ ২৬ বছরের শাসনকালে এবারই সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে পড়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
গত ২২ আগস্ট রাজধানী মিনস্কে বিক্ষোভ করে লাখ লাখ মানুষ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিনস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছেই বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। বিক্ষোভ-সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েকশ মানুষ।
১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। বিদেশি শক্তির ইন্ধনে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে বলে অভিযোগ লুকাশেঙ্কোর।
অন্যদিকে, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাড়ি ফেরাদের আটক করা হচ্ছে।