যৌনবৃত্তিতে ঝুঁকছেন শ্রীলঙ্কার কর্মহীন পোশাককর্মীরা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় নতুন দুর্দশা নেমে এসেছে কর্মজীবী নারীদের জীবনে। অভাবে পড়ে জীবিকা নির্বাহে যৌনবৃত্তি বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। এদের বেশিরভাগই পোশাক খাতের কর্মহীন নারী। ভারতভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএনআই’র বরাত দিয়ে শ্রীলঙ্কার সংবাদপত্র ডেইলি মিরর তাদের অনলাইনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ে কঠিন সময় পার করছে শ্রীলঙ্কার দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ। অনেক পরিবার এরই মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করে উঠতে পারছে না।

শ্রীলঙ্কাজুড়ে অস্থায়ী যৌনকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাসে যৌনবৃত্তি ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন স্ট্যান্ড-আপ মুভমেন্ট লঙ্কা (এসইউএমএল)। তবে, এসব যৌনকেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই স্পা সেন্টার বিউটি পার্লার বা শরীরচর্চা কেন্দ্রের আড়ালে পরিচালিত হচ্ছে।

এসইউএমএল’র নির্বাহী পরিচালক আসিলা দান্দেনিয়া এএনআইকে বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন পোশাক কারখানাগুলো থেকে চাকরিচ্যুতদের অনেকেই যৌনকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।’ 

এক নারী এএনআইকে বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে পোশাক কারখানার চাকরিটি হারিয়েছি আমি। পরে আমি দৈনিকভিত্তিক একটি কাজ পাই। সেখানে লোক কম থাকলে আমাকে কাজে নেওয়া হতো। কিন্তু পরিবারের প্রয়োজন অনুযায়ী মজুরি পেতাম না। মজুরি নিয়মিতও পেতাম না। পরে একটি স্পা সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আমাকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার অনুরোধ জানালে আমি তা শুরু করি। আমার মন এতে সায় দেয়নি, কিন্তু পরিবারের জন্য আমাকে এটি করতে হচ্ছে।’

এএনআই’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, নতুন করে যৌনবৃত্তিতে আসা এসব নারীরা আগে যেখানে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার লঙ্কান রুপি আয় করতেন, তারা এখন দিনেই ১৫ থেকে ২০ হাজার করে আয় করছেন।