যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে আবারও দিল্লির রাস্তায় নারী কুস্তিগিররা

Looks like you've blocked notifications!
নারী কুস্তিগিরদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ব্রিজ ভূষণ সিংকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আবারও দিল্লিতে বিক্ষোভ করছেন ক্রীড়াবিদরা। ছবি : ভিনেশ ফোগতের টুইটার থেকে নেওয়া

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ভারতের রেসলিং ফেডারেশনের সাবেক প্রধানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আবারও দিল্লিতে বিক্ষোভ করছেন কুস্তিগিররা। গত জানুয়ারিতে সরকার তাদের অভিযোগ তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তারা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছিলেন। খবর বিবিসির। 

চলতি বছরের শুরুতে রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (ডব্লিউএফআই) প্রধান ব্রিজভূষণ সিং এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে নারী কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ক্রীড়াবিদরা। ব্রিজভূষণ সিং এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।   

জানুয়ারিতে ক্রীড়াবিদের এই বিক্ষোভ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছিল। ওই সময় যৌন নিপীড়নসহ কুস্তিগিরদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ডব্লিউএফআই।

বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় সরকার ব্রিজভূষণ সিংকে বরখাস্ত এবং ফেডারেশনের কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি প্যানেল গঠন করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এপ্রিলে ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, কিন্তু তদন্তে পাওয়া তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

ব্রিজভূষণ সিং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির সংসদ সদস্য। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছেন কুস্তিগিররা। তারা জানায়, ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ এনে পুলিশের কাছে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন সাতজন নারী ক্রীড়াবিদ। এছাড়া অভিযোগ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।

রোববার রাতে দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ পদকজয়ী ভিনেশ ফোগত খোলা জায়গায় প্রতিবাদকারীদের ঘুমানোর ছবি টুইট করেছেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘পোডিয়াম (মঞ্চ) থেকে ফুটপাথ! ন্যায়বিচারের আশায় রাতে খোলা আকাশের নিচে।’ 

অলিম্পিক বিজয়ী বজরং পুনিয়া ও সাক্ষী মালিকও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। জানুয়ারিতে ভিনেশ ফোগত অভিযোগ করেছিলেন, অন্তত ১০ জন নারী কুস্তিগির ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ভূষণ সিংকে পদ থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কুস্তিগিরদের এই প্রতিবাদ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ দেশটিতে এই প্রথমবারের মতো শীর্ষ ক্রীড়াবিদরা ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।