রক্তে ভিজল পশ্চিমবঙ্গের ভোটকেন্দ্র, নিহত পাঁচ
রক্তে ভিজল পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার বিধানসভা নির্বাচন। আজ শনিবার সকালেই শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আরও চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহত সবাইকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেছে তৃণমূলকে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিআইএসএফ) এই গুলি চালিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। বাধা দেওয়া হচ্ছিল ভোটদানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরা হয়। রাইফেলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাতেই গুলি চলে।
শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অঙ্গুলি হেলনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আজকের ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী, দায়ী বিজেপি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপির সমর্থক বলে দাবি করেছে। অপরদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতরা হলেন হামিদুল হক, সামিয়ুল হক, মনিরুল হক ও নুর আলম।