রাজপদবি ব্যবহার করবেন না হ্যারি-মেগান

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সদস্য ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কল। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কল এখন থেকে আর রাজকীয় পদবি ‘হিজ/ হার র‍য়্যাল হাইনেস’ ব্যবহার করবেন না এবং রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য বরাদ্দ অর্থ পাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। এ ছাড়া হ্যারি-মেগান দম্পতি ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিনিধিত্বও করবেন না বলে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের ঘোষণায় জানানো হয়েছে। চলতি বছরের বসন্ত থেকেই এটি কার্যকর হবে। গতকাল শনিবার বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন হ্যারি ও মেগান। একই সঙ্গে তাঁরা কিছু সময় যুক্তরাজ্যে এবং কিছু সময় কানাডায় কাটানোর কথা জানান। তাঁদের ভাষ্য, জনগণের অর্থের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আয় করে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে চান। হুট করে নেওয়া ওই সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খান রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত ১২ জানুয়ারি হ্যারির সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।

হ্যারি-মেগান দম্পতি জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে তাঁদের ফ্রগমোর কটেজ সরকারি অর্থে সংস্কার করতে যে প্রায় ২৫ লাখ পাউন্ড খরচ হয়েছে, তা তাঁরা শোধ দিয়ে দেবেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে তাঁরা এখন থেকে ওই কটেজেই থাকবেন।

গতকাল শনিবার রানির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক মাসের কথাবার্তা এবং সাম্প্রতিক আলোচনার ভিত্তিতে তিনি মনে করেন, তাঁর নাতি ও নাতির পরিবার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে। রানি বলেন, ‘হ্যারি-মেগান ও তাদের সন্তান আর্চি সব সময় আমার পরিবারের অতি আপনজন হয়ে থাকবে।’

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কল গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

হ্যারি ও মেগানের রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর সারা বিশ্বে গুজব রটে, হ্যারির সঙ্গে তার ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া নানা কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবারে সাবেক হলিউড অভিনেত্রী মেগান অস্বস্তিতে রয়েছেন বলে খবর বের হয়। তবে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এসব মিথ্যা। সংবাদমাধ্যমের বানানো উড়ো খবর। এসব কারণে সংবাদমাধ্যমের ওপরও ক্ষেপে আছেন হ্যারি।