রাশিয়ার বিরুদ্ধে গম চুরির প্রমাণ পায়নি তুরস্ক
ইউক্রেনের গম চুরি করে তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি করছে রাশিয়া—কিয়েভের এমন অভিযোগের সত্যতা পায়নি তুরস্ক। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বৃহস্পতিবার রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এক রাষ্ট্রীয় সফরে আঙ্কারায় গেছেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কাভুসোগলু বলেন, ‘আমরা এ অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছি এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তকাজের অংশ হিসেবে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়া থেকে তুরস্কে যত গম এসেছে, সেসবের প্রতিটির রেকর্ড অনুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছে রাষ্ট্রীয় তদন্তকারী দল।’
‘কিন্তু, তদন্তে এমন কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা ইউক্রেনের অভিযোগকে কোনো প্রকার সত্যতা বা ভিত্তি দিতে পারে,’ বলেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ৬ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) উপপরিচালক জোসেফ স্মিদুবের জানান, যুদ্ধাবস্থা ও তার ফলে সৃষ্ট অবকাঠামোগত বিপর্যয় এবং ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দেশটির গুদামগুলোতে প্রায় আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টা আটকে আছে।
তারপর চলতি জুনের প্রথম দিকে আঙ্কারায় নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল ও গুদানসমূহ থেকে গম চুরি করে তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রি করছে রাশিয়া।
পাশাপাশি, এ চোরাই ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্তে তুরস্কের সহযোগিতাও কামনা করেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত।
সে অনুযায়ী এ অভিযোগের তদন্ত করে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও বৃহস্পতিবার একভাবে তার ফলাফল জানালেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে কাভুসোগলু আরও বলেন, ‘তুরস্ক নীতিগতভাবে এক দেশের চুরি করা পণ্য অন্যদেশ কর্তৃক কেনা-বেচা করার বিরোধী। যদি কখনও আমরা আঁচ করতে পারি যে, রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশ ইউক্রেনের গম বা যে কোনো পণ্য চুরি করে বিক্রি করছে, সেক্ষেত্রে সেসব পণ্য কখনও আমরা গ্রহণ করব না।’
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষনিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।