রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা নাভালনির সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক ও বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মস্কোর একটি আদালত। স্থগিত সাজার শর্ত ভঙ্গ করার দায়ে নাভালনিকে মঙ্গলবার এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
কারাদণ্ডাদেশের খবরে মস্কোর রাজপথে অবস্থান নেন নাভালনির সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, নাভানলির সমর্থকদের লাঠিপেটা করছে পুলিশ এবং তাদেরকে আটক করা হচ্ছে।
রাজধানী মস্কো ছাড়াও রাশিয়াজুড়ে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। শুধু রাজধানীতে ৮৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কারাদণ্ডাদেশের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন নাভানলি। প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘বিষপ্রয়োগকারী’ বলে অভিহিত করেন তিনি। নিজের ওপর হামলার জন্যও প্রেসিডেন্টকে দায়ী করেন নাভালনি।
আদালতে নাভালনি বলেন, ‘বিরোধীদেরকে ভয়ে রাখতে এসব মামলা দেওয়া হয়। একজনকে কারাদণ্ড দিয়ে লাখ লাখ রাশিয়ানকে দমন করতে তারা (সরকার) এসব করে।’
অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে সাজা পাওয়া নাভালনি এরই মধ্যে এক বছর গৃহবন্দি ছিলেন বিধায় কারাদণ্ড থেকে এক বছর বাদ দেওয়া হবে। তবে এই কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
গত ১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে রাশিয়ায় ফেরার পর বিমানবন্দরে নাভালনিকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ক্রেমলিনের এই সমালোচকের মুক্তি দাবিতে তীব্র ঠান্ডা আর ভারি তুষারপাত উপেক্ষা করে গত দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তায় নামছেন তাঁর হাজার হাজার সমর্থক।
বিষ প্রয়োগে অসুস্থ হওয়ার পাঁচ মাস পর ১৭ জানুয়ারি রাশিয়ায় ফেরার পর বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার করে ৩০ দিনের জেল দেওয়া হয় নাভালনিকে। জার্মানির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর নাভালনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক ৪৪ বছর বয়সী এই নেতাকে গত বছর আগস্টে রাসায়নিক বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি।