রাশিয়ায় নাভালনির সংগঠনগুলোকে ‘চরমপন্থী’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক কারাবন্দি নেতা আলেক্সি নাভালনির সংগঠনগুলোকে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মস্কোর একটি আদালত। একইসঙ্গে রাশিয়ায় সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধীদের জন্য একে আবারও একটি বড় আঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আদালতের সামনে সরকারি কৌঁসুলিদের মুখপাত্র আলেক্সি জাফইয়ারভ বলেন, ‘আদালত দেখতে পেয়েছে যে এসব সংগঠন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেবল ঘৃণা ও শত্রুতাই ছড়ানো হচ্ছিল না, বরং উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডও চালানো হচ্ছিল।’
এদিকে রুদ্ধদ্বার কক্ষে ১২ ঘণ্টার শুনানি শেষে মস্কো সিটি আদালত সাংবাদিকদের কাছে বিতরণ করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিচারকদের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে চলতি বছর জানুয়ারিতে রাশিয়ায় ফেরার পর নাভালনিকে (৪৫) কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এর আগে তাঁকে বিষপ্রয়োগে হত্যারও চেষ্টা করা হয়।
উল্লেখ, এপ্রিলে সরকারি কৌঁসুলিরা নাভালনির রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনকে চরমপন্থী হিসেবে ঘোষণার অনুরোধ জানিয়েছিল। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, এসব সংগঠন পশ্চিমাদের সমর্থনে বিদ্রোহ করার পরিকল্পনা করছে।
এদিকে নাভালনির পক্ষের আইনজীবীরা প্রকাশ্যে শুনানি এবং নাভালনিকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের এ অনুরোধ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, আদালতের এ রায়ের ফলে নাভালনির প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন ফর ফাইটিং করাপশন (এফবিকে) এবং দেশজুড়ে তাঁর নেটওয়ার্কের আঞ্চলিক অফিসগুলোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সরকারি কোনো পদ-পদবির জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না।
এ ছাড়া নাভালনির সংগঠনগুলোকে উগ্রপন্থি হিসেবে আখ্যায়িত করায় সরকারের পক্ষে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত অ্যাক্টিভিস্ট ও তহবিলদাতাদের বিচারের আওতায় এনে দীর্ঘ সাজা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।