রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে : ব্লিনকেন

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া আরও সৈন্য পাঠিয়েছে এবং যেকোনো সময় আগ্রাসন চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। শুক্রবার তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।

ব্লিনকেন বলেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেন দূতাবাস থেকে স্টাফ সরিয়ে নিচ্ছে এবং নতুন করে মার্কিন নাগরিকদেরকে অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার শক্তিবৃদ্ধির কিছু উদ্বেগজনক কর্মকাণ্ড দেখতে পাচ্ছি। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার নতুন বাহিনী জড়ো হচ্ছে। আমরা আগে যেমনটি বলেছি, আমরা এমন এক জায়গায় আছি যেখানে যেকোনো সময় আগ্রাসন শুরু হয়ে যেতে পারে। আর স্পষ্ট করে বললে, বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকস চলার এই সময়েও তা হতে পারে।’

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অলিম্পিকস এর আসর চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই আয়োজনের উদ্বোধনী দিনে গত সপ্তাহে চীন এবং রাশিয়া ইউক্রেন এবং তাইওয়ান ইস্যুতে একে অপরকে সমর্থন করেছে। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে একাট্টা থাকার অঙ্গীকারও করেছে দুই দেশ।

ইউক্রেইকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত না করার রাশিয়ার দাবি সমর্থন করেছে চীন। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়া ১ লাখের বেশি সেনা সমাবেশ করেছে। তবে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।

কিন্তু নতুন নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার আরও সামরিক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এতে  যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশেরই ধারণা, যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাবে মস্কো। পশ্চিমাদের এ উদ্বেগের মধ্যেই বেলারুশের সঙ্গে ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়ায় নামছে রাশিয়া।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আশঙ্কা আন্তর্জাতিক নিয়ম ভিত্তিক শৃঙ্খলাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এরকম কর্মকাণ্ডের শাস্তি না হলে, তা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনর্থ ডেকে আনতে পারে। এই অনর্থ বলতে চীনের তাইওয়ানে আগ্রাসন চালানোর হুমকির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন ব্লিনকেন।

আন্তর্জাতিক নীতিমালায় চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলে তার প্রভাব এখনও পড়বে জানিয়ে ব্লিনকেন বলেন, ‘অন্যরা আমাদেরকে দেখছে। আমরা কী করি তা দেখার জন্য আমাদের সবাইকেই লক্ষ্য করছে অন্যরা।’