রাসায়নিক কীটনাশক নিষিদ্ধে সুইজারল্যান্ডে গণভোট
সুইজারল্যান্ডে রাসায়নিক কীটনাশক নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণভোটে অংশ নিতে যাচ্ছেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিকেরা। ভোটে নিষিদ্ধের পক্ষে রায় মিললে কীটনাশক নিষিদ্ধকারী দ্বিতীয় দেশ হবে সুইজারল্যান্ড। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি বলা হয়েছে।
আজ রোববারের গণভোটে কৃষিতে রাসায়নিক কীটনাশক ছাড়াও সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে নতুন করারোপ ও জরুরি কোভিড-১৯ তহবিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন সুইসরা। সরাসরি গণতন্ত্রের দেশ সুইজারল্যান্ডে মৌলিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণভোট হয়ে থাকে। কোনো ইস্যুতে যেকোনো পক্ষ এক লাখ সাক্ষর সংগ্রহ করতে পারলেই সেটি নিয়ে গণভোট আয়োজন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।
একপক্ষ রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারকারী কৃষকদের ভর্তুকি বরাদ্দের তালিকা থেকে বাদ দিতে বলছে। অপরপক্ষ বলছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে যেন এই কীটনাশক চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
রাসায়নিক নিষিদ্ধের পক্ষ সমর্থনকারীরা বলছেন, রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে পানিতে রাসায়নিকের মাত্রা বাড়ছে, উদ্ভিদ, প্রাণি ও পোকামাকড়ের জীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধিতাকারীরা বলছেন, এটি নিষিদ্ধ হলে কৃষকদের অনেকেই পথে বসে যাবেন।
জুরিখ ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মার্টিন হাব বলেন, ‘শহরাঞ্চলে আপনি এমন অনেক মানুষ পাবেন, যাঁরা চাষাবাদের অর্থই জানেন না। তাঁদের বারান্দায় দুটো টমেটো ধরলেই তাঁরা মনে করেন—তাঁরা চাষাবাদ বুঝে গেছেন, কীভাবে অর্গানিক চাষাবাদ করতে হয়, তা তাঁরা জানেন।’
মার্টিন হাব বলেন, ‘সবাই চান, দেশের নিখাদ পরিবেশ সুরক্ষিত থাকুক। তাঁরা শুধু এর কার্যপ্রক্রিয়া নিয়ে একমত নন।’
বর্তমানে পৃথিবীর একমাত্র দেশ ভুটানে রাসায়নিক কীটনাশক পুরোপুরি নিষিদ্ধ। গোটা কৃষি ব্যবস্থা অর্গানিক রেখেছে ভুটানের সরকার।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি রাসায়নিক কীটনাশক উৎপাদনকারী বহুজাতিক কোম্পানির একটি ‘সিনজেনটা’ সুইজারল্যান্ডের।