রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতা গণহত্যার শামিল : যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
মিয়ানমার থেকে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ফাইল ছবি : রয়টার্স

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর চালানো সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে  রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল বলে ঘোষণার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বাইডেন প্রশাসন।

রয়টার্স বলছে—যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন স্থানীয় সময় আজ সোমবার ওয়াশিংটনের হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম পরিদর্শন করবেন। এ সময় ব্লিনকেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ গণ্য করার যে সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন নিয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন।

এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গাবিরোধী সহিংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছে।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া সফরের সময় জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের আচরণ গণহত্যা কি না, যুক্তরাষ্ট্র তা খুব সক্রিয়ভাবে খতিয়ে দেখছে।

মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ সালে দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম সেখান থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলছে। ২০১৯ সালে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাটির প্রাথমিক শুনানি শুরু হয়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলাটি করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

এর আগে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের একটি ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন’ উপসংহারে পৌঁছায় যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কাজ’ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, সে সময় ওয়াশিংটন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে ‘জাতিগত নির্মূল’-এর কোনো আইনি সংজ্ঞা নেই।