রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে দ্বিতীয় দফার শুনানি শুরু

রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তার তোলা আপত্তির বিষয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) গণশুনানি চলছে।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে পিস প্যালেসে স্থানীয় সময় আজ সোমবার সন্ধ্যায় মিশ্র পদ্ধতিতে এই শুনানি শুরু হয়। আদালতের কিছু সদস্য আইসিজে’র গ্রেট হল অব জাস্টিসে সশরীরে উপস্থিত রয়েছেন। অন্যরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এই সরকার জাতিসংঘের স্বীকৃতি না পেলেও তাদের ঠিক করে দেওয়া আট সদস্যের দল আইসিজেতে লড়ছে। এ দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিয়ানমারের অ্যাটর্নি জেনারেল থিডা ও।
২০১৯ সালে মামলাটির প্রাথমিক শুনানিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন দেশটির নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি, তিনি এখন সেই সামরিক জান্তার হাতে বন্দি রয়েছেন।
২১, ২৩, ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এই শুনানি হওয়ার কথা গত ১৯ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আইসিজে। যে কেউ আদালতের ওয়েবসাইট এবং ইউএন ওয়েব টিভিতে সরাসরি এই শুনানি দেখতে পারছেন।

রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ এনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এ মামলার বিচারে আইসিজের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এবারের গণশুনানি হচ্ছে মূলত মিয়ানমারের সেই আপত্তির ওপর। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আইসিজে সে বছরের ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে অভিযোগকারী গাম্বিয়াকে এবং অভিযুক্ত মিয়ানমারকে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আইনি যুক্তি দাখিলের জন্য সময় বেঁধে দেয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে মামলাটি তেমন এগোয়নি।