লুঙ্গি পরে আইফেল টাওয়ার-বিগ বেনের সামনে দেশের সাংবাদিকেরা

Looks like you've blocked notifications!
ফ্রান্সের প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের সামনে সাংবাদিক স্যাম জাহান (বাঁয়ে) ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বিগ বেনের সামনে মুক্তাদির রশিদ রোমিও। ছবি : সংগৃহীত

লুঙ্গি পরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সংবাদ সংস্থা এএফপির বাংলাদেশ করেসপন্ডেন্ট স্যাম জাহান। এ নিয়ে অনলাইনে আলোচনা হতে দেখা গেছে।

স্যাম জাহান বৃহস্পতিবার লুঙ্গি পরা ছবি শেয়ার দেওয়ার পর আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টারে পালার্মেন্ট ভবন সংলগ্ন বিগ বেনের সামনে লুঙ্গি পরে নিজের ফেসবুকে কয়েকটি ছবি দিয়েছেন নিউ এইজ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মুক্তাদির রশিদ রোমিও। তিনি লিখেছেন, ‘পাবনার লুঙ্গির বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন দিলাম।’

দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই আরামদায়ক এই পোশাকের প্রচারে এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তারা।

স্যাম জাহান নামে পরিচিত এএফপির সাংবাদিক সিকদার আবির মাহমুদ জাহান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘লুঙ্গি তো আমাদের ঐতিহ্যের একটা অংশ। আমাদেরই একটা আরামদায়ক পোশাক। আমি আমার বাবা, আমার দাদাকে দেখছি, এমনকি আমার দাদার বাবাকেও কিছুদিন দেখেছি। উনারা লুঙ্গি পরেছেন। আমার বাসায় তেমন একটা পরা হয় না লুঙ্গি। কিন্তু ইউরোপে আসার সময় ভাবছিলাম কীভাবে দেশকে ভিন্নভাবে তুলে ধরা যায়। আইফেল টাওয়ার যেহেতু পৃথিবীর সপ্তামাশ্চার্যের একটি। পতাকা নিয়ে তো সবাই দাঁড়ায়। সেটা তো জাতীয়তাবাদের চিহ্ন। কিন্তু আমি ভাবলাম, আমি তো আমার সংস্কৃতির জায়গা থেকে কিছু একটা করতে পারি। এজন্য এখানে লুঙ্গিটা পরে ছবি তুলি।’

স্যাম জাহান আরও বলেন, ‘দেখুন, আমি জুতা পরে ছিলাম ছবিটা তোলার সময়। এখানে কারও তা দেখার সময় নেই। বাংলাদেশের কোথাও, ঢাকার রাস্তায় এমন জুতা আর লুঙ্গি পরে হাঁটলে হয়তো অন্যভাবে তাকাবে। নানাকিছু বলেও বসতে পারে। এখানে তেমনটা হয়নি। যার যা পরার স্বাধীনতা, সে সেটা পরবে। আমাদের দেশের তরুণদের অনেকের মধ্যে নাকসিটকানোর একটা ব্যাপার আছে। আমার কথা হচ্ছে, যে যার পছন্দ মতো যা খুশি পরবে। এটা আমার সংস্কৃতিগত স্বাধীনতা।’

যুক্তরাজ্যে একটি ফেলোশিপে অংশ নিতে যাওয়া মুক্তাদির রশিদ রোমিও এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘লুঙ্গি সবসময়ই আমার পছন্দের পোশাক। কিন্তু আমি দেখছি, বাংলাদেশে লুঙ্গি বিষয়টা কেমন একটা নিষিদ্ধ গল্পের মতো হয়ে যাচ্ছে। অথচ লুঙ্গি আমাদের রাজনৈতিক, সংগ্রামী ও অর্থনৈতিক জীবনের সঙ্গে খুবই জড়িত। তাই লন্ডনে এসে মনে হয়েছে লুঙ্গিকে যে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে, তার পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।’