শান্তিনিকেতনে পিস্তল ও বিস্ফোরকসহ ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন থেকে চার বাংলাদেশিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন থেকে চার বাংলাদেশিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার তাঁদের আদালতে নেওয়া হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বীরভূম জেলা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি চারজনেরই বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং সবাই ঢাকার বাসিন্দা। এঁরা হলেন রফিকুল ফকির, দিলা মিঞা, মুরাদ মুন্সি ও বিলাল হোসেন। এই চারজনের পাশাপাশি বীরভূমেরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, শান্তিনিকেতনের তালতোড় এলাকায় কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতকারী জড়ো হয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। এরপরই অভিযানে নামে বীরভূম জেলা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জানা যায়, এঁদের মধ্যে চারজনই বাংলাদেশের। এঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি সেভেন এমএম পিস্তল, বেশ কয়েকটি গুলি ও সাড়ে পাঁচ কেজি বিস্ফোরক।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ বলছে, তাঁরা মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করে। তবে ঠিক কী কারণে তাঁরা বীরভূমে এলো বা কে তাঁদের ভাড়া করেছে, কাকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিধানসভা ভোটের আগে বড় ধরনের গণ্ডগোল পাকাতে এদের বীরভূমে আনা হয়েছিল।

যেহেতু গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক পাওয়া গেছে এবং তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগ রয়েছে, তাই তাদের স্পেশাল টাস্কফোর্স জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যেহেতু গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি, তাই এ তদন্তের ভার দ্রুত স্পেশাল টাস্কফোর্সের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার সঙ্গে আরো বেশ কিছু নাম তদন্তে উঠে আসছে। তাদের খোঁজে এরই মধ্যে বোলপুর, লাভপুর, নানুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে।