শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করবেন না
কয়েক দশকের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ চাইছেন। কিন্তু গোটাবায়া পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর সরকারের সড়কমন্ত্রী জনস্টন ফার্নান্দো।
এদিকে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছেন চিকিৎসকেরা। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্সের।
গোটাবায়া ২০১৯ সাল থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শ্রীলঙ্কার সরকারের শীর্ষ পদগুলোতে রয়েছেন গোটাবায়ার পরিবারের সদস্যরা।
অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সংকটে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে খাদ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নিয়ে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি এবং বিদ্যুৎ ঘাটতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি আর এত বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি। ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কানরা চলমান সংকট নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এদিকে বিক্ষোভ দমন করতে গত সপ্তাহে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল সরকার। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ৪২ আইনপ্রণেতা সরকারি জোট ছেড়ে দেওয়ার গোটাবায়ার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি, ওষুধ, খাবারের ঘাটতি নিয়ে গত মাসে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন আরও তীব্র হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দাবি তুলেছেন, ‘গোটাবায়া ক্ষমতা ছাড়।’
এ নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে দেশটির সড়কমন্ত্রী জনস্টন ফার্নান্ডো বলেন, ‘আপনাদের কি স্মরণ করিয়ে দেব ৬৯ লাখ মানুষ প্রেসিডেন্টকে ভোট দিয়েছিলেন। সরকার হিসেবে আমরা পরিষ্কার করে বলছি, কোনো পরিস্থিতিতেই প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করবেন না। আমরা এর মোকাবিলা করব।’