শ্রীলঙ্কায় দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পাঁচ সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও জরুরি ব্যবস্থা জারি করেছেন। গত শুক্রবার রাত থেকে তা কার্যকর হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ১ এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন বলছে, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভের মুখে দেশজুড়ে এ জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বিক্ষোভের কারণে গোটা দেশ প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দোকানপাট বন্ধ। সড়কে-সড়কে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিলে প্রায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচলও।
এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় চলমান নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের নেপথ্যে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দায়ী, এমন অভিযোগ করে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো গাড়ির চাকা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের একজন মুখপাত্র গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ।
চলমান জরুরি অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার ও দীর্ঘ সময় আটকে রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রথম বারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে। এর আগের দিন শ্রীলঙ্কাজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সেবারের জরুরি অবস্থা ১৪ এপ্রিলে গিয়ে তুলে নেওয়া হয়।
এসবের পরও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং মন্ত্রিসভায় তাদের পরিবারের সদস্যেরা পদত্যাগ করতে রাজি নন। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে বলেছেন, বিক্ষোভ যতই বাড়ুক তিনি পদত্যাগ করবেন না।