সাঁজোয়া যান ও হেলিকপ্টার দিয়ে তালেবানের সামরিক কুচকাওয়াজ

Looks like you've blocked notifications!
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে তালেবান। ছবি : রয়টার্স

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে তালেবান। লড়াইয়ের সময় দখল করা যুক্তরাষ্ট্র-নির্মিত সাঁজোয়া যান ও রাশিয়ার হেলিকপ্টার দিয়ে এই কুচকাওয়াজ করে তারা।

বিদ্রোহী বাহিনী থেকে তালেবানের নিয়মিত সেনাবাহিনীতে রূপান্তর প্রক্রিয়া প্রদর্শন করতেই রোববার এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান করা হয়।

আফগানিস্তানে যেসব অস্ত্র নিয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে দুই দশক আগে অভিযান শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র; তার অনেকগুলোই এখন এই দলটির হাতে। খবর রয়টার্সের।

বিদ্রোহী বাহিনী হিসেবে দুই দশক ধরে তালেবান লড়াই করে এলেও গত আগস্টে আফগানিস্তানে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের পতন ঘটার পর তাদের ফেলে যাওয়া বিশাল অস্ত্রভান্ডার চলে আসে তালেবানের হাতে।

ওই সময় এক ভিডিওতে সাঁজোয়া যানের বহরের সামনে তালেবান সদস্যদের পরীক্ষা করে দেখতে দেখা গেছে নতুন নতুন নানা সমরাস্ত্র, এমনকি ড্রোনও।

কাবুলের কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম১১৭ সাঁজোয়া যান এবং এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। বহু সেনার হাতে ছিল যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এম৪ এসাল্ট রাইফেল।

নতুন ২৫০ জন প্রশিক্ষিত সেনার গ্র্যাজুয়েশন উপলক্ষে এই কুচকাওয়াজ হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

তালেবান বাহিনী এখন যে সমস্ত অস্ত্র এবং হাতিয়ার ব্যবহার করছে; সেগুলো ওয়াশিংটন সরবরাহ করেছিল মার্কিন-সমর্থিত আফগান সরকারকে। তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আফগান ন্যাশনাল ফোর্সেস গড়ে তুলতে দেওয়া হয়েছিল এসব অস্ত্র।

তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় আফগান বাহিনীও ভেঙে পড়ে। আর এইসব সমরাস্ত্র চলে যায় তালেবানের হাতে।

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার সময়ই কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আফগান ন্যাশনাল আর্মি থেকেও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, মেকানিক ও পাইলটদের নতুন তালেবান বাহিনীতে নেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।

এক হিসাবে দেখা যায়, ২০০২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীকে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার সমরাস্ত্র দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বন্দুক, রকেট, নাইট-ভিশন গগলস, গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর জন্য ড্রোন।

তবে উপহারের তালিকায় সবকিছুর উপরে ছিল ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার। তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান সেনাদের এটা বেশ এগিয়ে রাখত।