সাংবাদিকদের ওপর কড়াকড়ি শিথিল করতে রাজি চীন-যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বহুল-প্রত্যাশিত ভার্চ্যুয়াল বৈঠক। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের সাংবাদিকদের ওপর ভ্রমণ ও ভিসায় কড়াকড়ি শিথিল করতে রাজি হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বহুল-প্রত্যাশিত ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর দুদেশের মধ্যে এই সমঝোতার খবর এলো।

এর ফলে দুই দেশের সাংবাদিকরা আরও স্বাধীনভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে যাতায়াত করতে পারবেন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলি জানিয়েছে, দুই প্রেসিডেন্টের এই সম্মতি ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা কঠিন আলোচনার ফল।’

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এর অধীনে দুদেশের সরকার সাংবাদিকদের ভিসার বৈধতার মেয়াদ তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বাড়াবে। প্রায়োগিক সব আইন ও নিয়মের অধীনে তাদের ভিসা বৈধ বলে বিবেচিত হবে।

তা ছাড়া, দুই দেশই সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে দেশত্যাগ করা এবং ফিরে আসার অনুমতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে, যেটা আগে সম্ভব ছিল না। আগে কঠোর বিধিনিষেধের করণে দুদেশের সাংবাদিকরা পরস্পরের ভূখণ্ডে অবাধে যাতায়াতে করতে পারতেন না।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তারা নতুন উদ্যোগকে সম্পর্কের অগ্রগতি হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে একে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন তারা।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে ‘বিদেশি মিশন’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে চীনা সাংবাদিকদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিধান চালু হয়।

সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা, চীনা গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কসহ পাঁচটি চীনা সংবাদমাধ্যমকে তখন বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনও সম্পত্তি কিনতে তাদের অনুমোদন নেওয়ার দরকার হবে। সেই সঙ্গে তাদের সব কর্মীর তালিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে জমাও দিতে হবে।

এমন পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দেয় চীনা সরকার। এর এক মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো বড় বড় সংবাদমাধ্যমের ১৩ সাংবাদিককে বহিষ্কার করে চীন।