সাইবার হামলা ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ : রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ জন রুশ কুটনীতিককে বহিষ্কারসহ প্রায় তিন ডজন কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং একাধিক কেন্দ্রীয় দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও হস্তক্ষেপের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন রাশিয়াকে দায়ী করছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জো বাইডেন গতকাল রাশিয়ার ওপর এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গতবছর টেক্সাসকেন্দ্রিক একটি সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সোলার উইন্ডসে সাইবার নিরাপত্তা যে ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে তা ছিল রাশিয়ার দিক থেকে গোপন সংবাদ সংগ্রহের একটি অংশ। বলা হচ্ছে ওই হ্যাকিং প্রক্রিয়ায় রুশ হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত নয়টি দপ্তরকে তাদের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন, ওই হ্যাকিং ছিল গোপন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা।
এ ছাড়া গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অভিযোগ আনেন যে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় প্রভাব ফেলে এমন তৎপরতাকে অনুমতি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এমন কোনো অকাট্য প্রমাণ নেই যে রাশিয়া কিংবা অন্য কেউ মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আনতে পেরেছিল।
গতকাল জো বাইডেনের নির্বাহী আদেশে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সাইবার অপরাধে সংযুক্ত ছয়টি রুশ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি। হোয়াইট হাউস বলছে, ১০ জন রুশ কুটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারাও।