সামনের কিছুদিন কঠিন সময় পার করতে হবে : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
করোনায় আগামী কয়েক সপ্তাহ কঠিন সময় পার করতে হবে ফ্রান্সকে—খ্রিষ্টীয় নববর্ষের প্রাক্কালে এমনটাই বললেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ৩২ হাজার ২০০ জনের কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যা মহামারি শুরুর পর ফ্রান্সে সর্বাধিক।
নববর্ষের আগে দেওয়া ভাষণে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘সামনের কয়েক সপ্তাহ যে কঠিন হবে, তা আমরা সবাই জানি।’
ফ্রান্সে টানা তিন দিন দৈনিক দুই লাখের বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। গোটা ইউরোপেই করোনার ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এ ঢেউয়ে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালি ও যুক্তরাজ্যেও সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা আগের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। দেশ দুটিতে যথাক্রমে এক লাখ ৪৪ হাজার ২৪৩ জন এবং এক লাক ছয় হাজার ১২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ‘ওমিক্রন’ এখন ফ্রান্সের প্রধান করোনা স্ট্রেইন হয়ে উঠেছে। যার ফলে গত কয়েক দিনে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। সাপ্তাহিক করোনা সমীক্ষা সামনে এলে দেখা যাচ্ছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা গেছে—দেশটিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর পরিমাণ ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট গতকাল শুক্রবার গণটিকা দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। কোভিডের মহামারিকে বিদায় করার জন্য টিকা নেওয়াকে ফ্রান্সের ‘নিশ্চিত’ সমাধান বলে মনে করেন ম্যাক্রোঁ। এবং ২০২২ সালেই তা সম্ভব বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তবে, ম্যাক্রোঁ তাঁর ভাষণে ফ্রান্সে এরই মধ্যে ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধিগুলোর বাইরে নতুন করে আরও বেশি বিধিনিষেধের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেননি। বরং তিনি বলেছেন, সরকারের উচিত জনগণের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে আরও সীমাবদ্ধ করা থেকে বিরত থাকা।
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা (করোনার মহামারির) প্রথম দিনে যে নীতি গ্রহণ করেছিলাম, সে একই নীতি অনুসরণ করে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।’