সিকিম-চীন সীমান্তে তুষারধস, নিহত অন্তত ৭
সিকিম-চীন সীমান্তে নাথুলায় তুষার ধসে বরফে চাপা পড়ে অন্তত সাতজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে চীন সীমান্তের এই পাহাড়ি পাস নাথুলায় তুষারধসের ঘটনা ঘটে।
সিকিম-চীন সীমান্তে নাথুলা সারা বছরই পর্যটকে ছেয়ে থাকে। দেশটির সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সে সময় ওই জায়গায় পাঁচ-ছয়টি পর্যটক-বোঝাই গাড়ি ছিল। ভেতরে অন্তত ৩০ জন পর্যটক ছিলেন। সবাই বরফের নিচে চাপা পড়েছে।’
তুষারধস থামার সঙ্গে সঙ্গে সেনার ত্রিশক্তি বাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে। সঙ্গে যুক্ত হয় বিআরও-র কর্মীরা। আবহাওয়া খারাপ থাকায় দ্রুত উদ্ধারকাজ সম্ভব হচ্ছে না। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত জানিয়েছেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৩ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনকে গভীর উপত্যকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সবাইকেই সেনাবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুষারধসের জন্য রাস্তায় আটকে পড়ে অন্তত ৮০টি পর্যটকের গাড়ি। সব মিলিয়ে ৩৫০ জন পর্যটক রাস্তাতেই আটকে আছেন বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে। কিন্তু তারা আহত হননি। রাস্তা পরিষ্কার করে তাদের গ্যাংটকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
ভারত-সিকিম সীমান্তের নাথুলা একটি হাই অলটিটিউড পাস। পাসের একদিকে চীনের সেনা, অন্যদিকে ভারতের। মধ্যখানে ফটক তৈরি করা হয়েছে। পর্যটকেরা একেবারে চীন সীমান্ত পর্যন্ত যেতে পারেন।