সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দর লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। চলতি মাসে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এ ধরনের দ্বিতীয় হামলার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিতে শত শত বার বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করেছে। তারা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি ইরান সমর্থিত মিত্র বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ভয়ঙ্কর সব আক্রমণ চালিয়েছে।
সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৩টা ২১ মিনিটের দিকে ইসরায়েলি শত্রু বাহিনী লাতাকিয়া বন্দর লক্ষ্য করে ভূমধ্যসাগর অভিমুখ থেকে বিমানের সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেখানে এ বিমান হামলায় ‘অনেক ক্ষতি হয়েছে’।
এর আগে গেল ৭ ডিসেম্বর লাতাকিয়া বন্দরে ইরানের একটি অস্ত্র জাহাজ লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছিল। যদিও এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
লাতাকিয়া বন্দর এলাকা হচ্ছে - প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় শক্তিশালী কেন্দ্র। এ দিকে ইসরায়েলের একাধিক মিডিয়াও ভয়াবহ ওই হামলার খবর ও ছবি ফলাও করে প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০১১ সালে সিরিয়ায় বিদেশি মদদপুষ্ট উগ্রগোষ্ঠী সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর তাণ্ডব শুরুর পর থেকে ইহুদিবাদী ইসরায়েল প্রায়ই সিরিয় ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালায়। সিরিয়ার সামরিক বাহিনীও এসব আক্রমণ প্রতিহত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশকে সমর্থন দিতেই মূলত ইসরায়েল এসব আগ্রাসন চালিয়ে আসছে।