সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির নতুন অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি। ছবি : রয়টার্স

নির্বাচনে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিচার হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক ঘোষণায় এ কথা জানানো হয়েছে।

এদিন সু চিকে নেপিদোর আদালতে হাজির করা হয়েছিল, সেখানে বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা উসকানির অভিযোগের রায় আগামী ৩০ নভেম্বর দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন বলে বিচার প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের দিন ভোরে চালানো এক অভিযানে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে একটি এবং দুর্নীতির দুটিসহ মোট ১১টি মামলা হয়েছে।

দোষী সাব্যস্ত হলে ও সর্বোচ্চ সাজা পেলে সব অভিযোগ মিলিয়ে সু চি ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে তার বিচার চলছে; এ বিচার সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার একমাত্র উৎস সু চির আইনজীবীর ওপর মামলা সংক্রান্ত কোনো কিছু আদালতের বাইরে বলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, সু চিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়াসহ ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া, নির্বাচনে জালিয়াতি ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগের বিচার শুরু হয়েছে। এ ১৬ জনের অনেকেই দেশটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার।

মিয়ানমারে ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চলা সেনাশাসনের শেষ দুই দশকের অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সু চি।