সোলেইমানিকে হত্যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন : জাতিসংঘ
ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।
সোলেইমানি মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানতে চেয়েছিলেন বলে তাঁকে হত্যা করার যে অজুহাত ওয়াশিংটন দাঁড় করিয়েছিল তার প্রমাণ করা যায়নি বলে ক্যালামার্ড তাঁর তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে আগামী বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) ক্যালামার্ডের প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।
প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, সোলেইমানি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত করতে চেয়েছিলেন, ওয়াশিংটন তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ক্যালামার্ডের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল সোলেইমানি ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের সামরিক কৌশল ও পদক্ষেপের নীতি-নির্ধারণী ভূমিকা পালন করতেন। কিন্তু মার্কিন দাবির বিপরীতে তিনি (মানুষের) জীবনের জন্য অত্যাসন্ন কোনো হুমকি ছিলেন না। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক অ্যাগনেস ক্যালামার্ডের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আত্মরক্ষার অজুহাতে তৃতীয় কোনো দেশে আরেকটি দেশের সেনা কমান্ডারের ওপর এই প্রথম এ ধরনের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অথচ জাতিসংঘ ঘোষণার ঘোরতর লঙ্ঘন সত্ত্বেও জেনারেল সোলেইমানি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা একজন ইরাকি সেনা কমান্ডারকে হত্যার দায়ে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রতিবেদনে বিশ্বের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য সামরিক ড্রোন ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন তৈরি ও তা কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় কাসেম সোলেইমানিকে বহনকারী গাড়ির বহরে ড্রোন হামলা চালায় ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনী। হামলায় সোলেইমানি ও ইরাকের জনপ্রিয় গণবাহিনী ‘হাশদ আশ-শাবি’র উপপ্রধান মাহদি আল মুহান্দিসসহ নয়জনের মৃত্যু হয়।