থাইল্যান্ডে ডে-কেয়ার সেন্টারে হামলা

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর হামলাকারীর আত্মহত্যা

Looks like you've blocked notifications!
থাইল্যান্ডে একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ৩৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ছবি : রয়টার্স

থাইল্যান্ডে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ৩৭ জনকে হত্যা করা সেই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার আগে গুলি চালিয়ে তিনি নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।

স্থানীয় পুলিশ বলছে, নং বুয়া লামফু প্রদেশে হামলার পর হামলাকারী নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর গুলি চালান। বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার চালানো গুলি ও ছুরিকাঘাতে নং বুয়া লামফু প্রদেশের একটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুসহ ৩৭ জন নিহত হন। তবে কী কারণে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হামলাকারী সাবেক ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম পান্যা কামরাব। তার বয়স ৩৪ বছর। হামলার পর পর তাকে সাদা রঙের একটি পিকআপ ট্রাক নিয়ে পালাতে দেখা যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সম্প্রতি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সর্বশেষ তাকে ব্যাংককে রেজিস্ট্রেশনকৃত একটি পিক-আপ ট্রাক চালাতে দেখা গেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নং বুয়া লামফু প্রদেশের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ২৩ জন শিশু রয়েছে।

দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলার পর দেশটির সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা এবং কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচা। একই সঙ্গে অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

থাইল্যান্ডের ওই অঞ্চলে দেশটির অন্যান্য এলাকার তুলনায় বন্দুকের মালিকানার হার বেশি। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

থাইল্যান্ডে এ ধরনের ঘটনা খুবই কম। তবে ২০২০ সালে একজন সৈনিক অন্তত চারটি স্থানে তাণ্ডবে চালান। এতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছিল।