হাশেদ বাহিনীর আহ্বানে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ছাড়লেন অবরোধকারীরা
ইরাকের বাগদাদে অবরোধ করে রাখা মার্কিন দূতাবাস গতকাল বুধবার ত্যাগ করেছে ইরানপন্থী বিক্ষোভকারীরা। দূতাবাসটি অবরোধ করার একদিন পর আধা-সামরিক বাহিনী হাশেদ আল-শাবি বিক্ষোভকারীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইরানে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী হাশেদের হাজার হাজার ইরাকি সমর্থক গত মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাস চত্বর ঘেরাও করেছিল। সপ্তাহান্তে মার্কিন বিমান হামলায় হাশেদের ২৫ সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তাঁরা দূতাবাসটি অবরোধ করেন।
বিক্ষোভকারীরা কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বিভিন্ন চেকপয়েন্ট দিয়ে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যায়। দূতাবাসের অভ্যর্থনা এলাকা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা ‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক’ স্লোগান দেয় এবং দেয়ালে ইরানপন্থী বিভিন্ন স্লোগান লেখে।
ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি বিক্ষুব্ধ জনতার প্রতি দূতাবাস ত্যাগ করার আহ্বান জানালেও বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশ দূতাবাস চত্বরের বাইরে স্থাপিত বিভিন্ন তাঁবুতে রাত কাটায়।
গতকাল বুধবার সকালে হাশেদ বাহিনীর পোশাক পরিহিত বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পতাকা জ্বালিয়ে দেয় এবং দূতাবাস চত্বরের ভেতরে পাথর নিক্ষেপ করে।
এ সময় ভেতরে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়্যার গ্যাস ছোড়ে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
দুপুরের পর হাশেদ বাহিনী তাদের সমর্থকদের দূতাবাস চত্বর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানালে তারা সেখান থেকে চলে যায়।
এএফপির একজন চিত্রগ্রাহক বিক্ষোভকারীদের তাদের তাঁবু গুটিয়ে নিয়ে গ্রিন জোন ছেড়ে চলে যেতে দেখার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার পর ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছে। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগান ওরতাগাস বলেছেন, বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলার পেছনে ইরানের ইন্ধন রয়েছে। ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাঁর বক্তব্যে মার্কিন দূতাবাস অবরোধকারী জনতাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন। ওরতাগাস দাবি করেন, ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অবরোধ আরোপ করেছেন, তাতে ফল আসা শুরু করেছে।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ব্রায়ান হুকও ইরানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন।